You are currently viewing ‘অস্তিত্বের সংকটঃ ইসরায়েল-ফিলিস্তিন’ – মোঃ আশিকুল হাবিব

‘অস্তিত্বের সংকটঃ ইসরায়েল-ফিলিস্তিন’ – মোঃ আশিকুল হাবিব

অস্তিত্বের সংকট

ফিলিস্তিন, এই দেশটার নাম শুনেনি এইরকম বাংলাদেশী খুঁজে পাওয়া মুশকিল, অবশ্য এটা যে শুধু বাংলাদেশীদের জন্য এমন তা না বরং পুরো বিশ্বের মানুষের কাছেই নামটা পরিচিত।  এর পেছনে কারণটাও আসলে সোজা, পত্রিকা,  টেলিভিশন,  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যে মাধ্যমের পেছনেই আপনি সময় দেন না কেন,  এই দেশটার  নাম বেশিরভাগ সময়ই শিরোনামে থাকে।  অবশ্য শিরোনামে থাকার পেছনের কারণটা  সবার জানা হয়ে ওঠে না,  সেজন্য ভাবলাম এই দেশটার শিরোনামে থাকার আসল  রহস্যটা আলোচনা করা দরকার, আমাদেরও পরিণতি হয়তো এই ফিলিস্তিনিদের মতো হতো যদি না,  ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হতো।

শুরু করতে চাই একটা শহরের গল্প দিয়ে। জেরুজালেম নাম সেই শহরের অবস্থান মধ্যপ্রাচ্যে।  এই শহরকে বলা হয় পৃথিবীর ইতিহাসে প্রাচীনতম এবং পবিত্রতম একটা নগরী।  কারণটা খুবই সোজা, বিশ্বে বর্তমানে যে কয়টি প্রধান ধর্ম রয়েছে তার মধ্যে প্রধানতম তিনটি ধর্মেরই আসলে এই শহরের সাথে সম্পর্ক রয়েছে। ইহুদিদের কাছে  এটা হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে পবিত্রতম জায়গা মুসলমানদের কাছে এটা হচ্ছে পৃথিবীর তৃতীয় পবিত্রতম জায়গা এবং খ্রিষ্টানদের  কাছেও  এই জায়গায় গুরুত্ব রয়েছে।

এই শহরটাকে নিয়ে এখন  এত ঝামেলা হচ্ছে যার  প্রক্ষাপট আসলে শুরু হয়েছিল  আজ থেকে বেশ কয়েক শতক বছর পূর্বে যখন হচ্ছে পুরো আরবের এই অংশটা অটোমান সম্রাজের মধ্যে চলে আসে।  অনেক ইহুদিরা এটা বিশ্বাস করে যে অটোমানরা এই অংশটা দখলের পূর্বে এখানে মূলত ইহুদীদের এই অবস্থান ছিল কিন্তু অটোমান এখানে ক্ষমতায় আসার পরে তাদেরকে উচ্ছেদ করে, ফলে শহরটা আরবীয়দের দখলে চলে যায় । এরপর অনেক সময় পার হয়ে যায়।  কিন্তু সমস্যাটা আবার নতুন আকার ধারণ করে যখন প্রথম বিশ্বযুদ্ধ হয়।  অটোমান সাম্রাজ্য মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কিছু জায়গায় হারিয়ে ফেলে।  ভারতীয় উপমহাদেশের মত শেষ সময়ও মূলত ইংরেজদের উপনিবেশিক শক্তি কাজ করতো আসলে তখন আরবদের বলা হয় যে তোমরা যদি অটোমানদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করো বা যুদ্ধে সাহায্য  করো তাহলে তোমাদের স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য যুক্তরাজ্য সাহায্য করবে।  ফলস্বরুপ জর্ডান এবং ইরাককে স্বাধীন দেশের মর্যাদা দেয়া হয়েছিলো ঠিকই কিন্তু বিপত্তি বাধে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন দেশের মর্যাদা দেওয়ার সময়। স্বাধীন দেশের মর্যাদা না দেওয়ায়  ফিলিস্তিনিরা বিচলিত হয়ে ওঠে  পুরো ঘটনায় এবং তারা আস্তে আস্তে ইংরেজদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে আর  এই সময় গল্পে আগমন ঘটে  ইহুদিদের।

ঊনবিংশ শতাব্দীতে, জাতীয়তাবাদের উত্থান ছিল সেইসময়ের রাজনীতির প্রধান আলোচ্য বিষয়।  মূলত, সবগুলো জাতি তাদের নিজের জন্য স্বাধীন একটি রাষ্ট্র স্থাপন করতে চেয়েছিল। একই উদ্দেশ্যে  ইহুদিরা ইউরোপ থেকে  জেরুজালেমে আসতে শুরু করে এবং  জেরুজালেম শহরকে কেন্দ্র করে নতুন রাষ্ট্র গড়ে তোলার জন্য প্রাথমিক কাজ সেরে রাখে । প্রথমে একজন এসে জমি ক্রয় করে বসতি গড়ে তুলে এরপর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে আসে,  এভাবে জেরুজালেমমূখী যাত্রা শুরু করে ইহুদিরা।   মাইগ্রেশন এর মাত্রা এতটাই হয়ে যায় যে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে ইহুদিদের সংখ্যা  প্রায় ৩০% পর্যন্ত বৃদ্ধি পায় ।  আর একটা সময় তারা, তাদের নিরাপত্তার জন্য  মিলিশিয়া বাহিনী গড়ে তোলে যা পরবর্তীতে পৃথক রাষ্ট্র গঠনে ভূমিকা পালন করে ।  

আরবরা যখন ইংরেজদের ওপর  বিদ্রোহ শুরু করে ( নতুন রাষ্ট্র না করার ফলে)  তখন এইসব ইহুদী মিলিশিয়া বাহিনী ইংরেজদের সাহায্য করতে শুরু করে এবং ইংরেজদের পক্ষে ফিলিস্তিনিদের শোষণ শুরু করে। কিন্তু একটা সময়  এই সম্পর্কের ( ইংরেজ-ইহুদি)   টানাপোড়ন শুরু হয় যখন ইংরেজরা এই মাইগ্রেশনের পরিমাণ অনেক কমিয়ে আনার জন্য আইন পাশ করে।  মিলিশিয়া বাহিনীরা ইংরেজদের উপর ক্ষুব্ধ হন এবং মাঝেমধ্যে ইংরেজদের উপরও আক্রমণ চালানো শুরু করে যদিও তা ছিল স্বল্প পরিসরে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ যেন ইউরোপে ইহুদীদের ওপর ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি করে। হিটলার ১৯৪১ থেকে ১৯৪৫ সালের মধ্যে প্রায় ৪.৫ মিলিয়ন (৪৫ লক্ষ) ইহুদিদের হত্যা করে । এতে করে  ইহুদিদের আর বুঝতে বাকি থাকেনা যে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র ছাড়া তাদের অস্তিত্ব  অসম্ভব।  ফলস্বরূপ,  তারা অনেক বড়ো সংখ্যায়  জেরুজালেমে চলে আসে এবং সেইখানে জমি কিনে দৈনন্দিন কার্যক্রম চালিয়ে যায় ।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে পৃথিবীর রাজনীতিতে যুক্ত হয় জাতিসংঘ  নামে নতুন একটা সংঘ।  যার প্রধান কাজ হচ্ছে পৃথিবীতে শান্তি বজায় রাখা। যাতে করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মত আরেকটা সংকটময় পরিস্থিতি তৈরি না হয়। এরই পদক্ষেপ স্বরুপ,  শান্তি স্থাপনের উদ্দেশ্যে ইউনাইটেড নেশনস একটা নতুন প্রস্তাবনা করে যেখানে উল্লেখ করা থাকে যে ফিলিস্তিনের জমিতে ইহুদিদের জন্য নতুন রাষ্ট্র তৈরি করা হবে,  যার নাম হবে ইসরায়েল ।  আর শান্তি প্রতিষ্ঠার এই স্থানই  হয়ে ওঠে গত প্রায় ৭০ বছর ধরে  চলমান অশান্তির কেন্দ্রবিন্দু ।

ইউএন এর মতে, নতুন দুইটি রাষ্ট্রের ইহুদি শাসিত ইসরাইলের থাকবে প্রায় ৫০% ভূমি,  অপর ৫০%  থাকবে ফিলিস্তিনের।  এবং । এই ঘোষণা,  ইহুদীরা খুব খুশির সাথে গ্রহণ করলেও ফিলিস্তিনিরা মোটেও  খুশি হতে পারেনি। আর এর ফলেই শুরু হয় আরব ইজরায়েলের প্রথম যুদ্ধ ১৯৪৮ থেকে ১৯৪৯  সাল ।  নতুন দেশ হওয়া সত্বেও ইসরাইল সেই যুদ্ধে  শুধু যে জয় লাভ করে তা-না বরং প্রায় ৩০ শতাংশ ভূমি বেশি দখল করে ।  আর এর ফলে সৃষ্টি হয় ভয়াবহ এক  রিফিউজি সংকটের ।   প্রায় ৭০ লক্ষ ফিলিস্তিনি তাদের বসবাস জমি ত্যাগ করতে  বাধ্য হয় এবং পাশ্ববর্তী দেশগুলোতে আশ্রয় গ্রহণ করতে।  যা আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময়কালের মতো পরিস্থিতি তৈরি  করে।  এমনকি সেইসময় অনেক ফিলিস্তিনি সংবাদ মাধ্যম  বাংলাদেশের অবস্থাকে “দ্বিতীয় ফিলিস্তিন ” হিসেবে উল্লেখ করেছিলো ।

যাইহোক,   ইউনাইটেড নেশন এর ফিলিস্তিনের জন্য বরাদ্দকৃত জায়গা গুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল গাজা উপত্যকা এবং ওয়েস্ট ব্যাংক (পশ্চিম তীর)  এটাকে এইরকম নামে ডাকা হয় কারণ,  এই জায়গাটা জর্ডান নদীর পশ্চিম তীরে  অবস্থিত ।  এই যুদ্ধের (১৯৪৮-৪৯) পরে গাজা উপত্যকা  মিশর এবং এবং পশ্চিম তীর জর্ডানের দখলে  চলে যায়।  ফলস্বরুপ প্যালেস্টাইন বা ফিলিস্তিন নামে একটি দেশের অস্তিত্ব সম্পূর্ণভাবে হারিয়ে যায়।  ফিলিস্তিন বলতে তখন  এক গ্রুপ  মানুষকে বোঝায় যারা  একটা নতুন দেশ দাবী করে যে দেশটার নাম হবে ফিলিস্তিন।

এরপরের আঘাতটা আরব দেশগুলোর ওপর আসে ১৯৬৭ সালের ৬ দিনের যুদ্ধে।  প্রথমবারের মতো এবারও ইসরায়েল জয়লাভ করে মিশর তার দেশের একটা বিশাল অঞ্চল ইসরাইল এদের কাছে হারায় যেটা সিনাই উপত্যকা নামে পরিচিত  । আর সিনাই উপত্যকা নিজেদের মধ্যে নেয়ার ফলে ইজরায়েলের ভূমি প্রায় তিনগুণ বৃদ্ধি পায় ।

নিজের হারানো জায়গা ফিরে পাওয়ার জন্য মিশর পরের যুদ্ধটা বাধায় ১৯৭৩  সালে। প্রথমদিকে কিছুটা সফল হলেও পরবর্তীতে ইসরাইলের কাছে আবার পরাজিত হয় এবং যুদ্ধের ফলাফল হিসেবে  মিশর ইসরাইলের সাথে বৈঠকে বসতে  রাজি হয়।

ফিলিস্তিনিদের জন্য এই যুদ্ধের ফল হয় সবচেয়ে তিক্ত।  স্বাধীন ফিলিস্তিনের স্বপ্ন  অনেকটা অস্তমিত হয় এই যুদ্ধের পরে।  ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় আমেরিকায়, যেখানে মিশরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত এবং তৎকালীন ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট  একত্রে একটি মিটিংয়ের বসেন । ১২ দিনের গোপন আলোচনা শেষে স্বাক্ষরিত হয় সেই চুক্তি। এতে মধ্যস্থতা করেন তৎকালীন  মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার। মিশর প্রথম আরব মুসলিম দেশ হিসেবে ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয় যা ইসরাইলের জন্য বিশাল একটা কূটনৈতিক বিজয় হিসেবে দাঁড়ায়। আর ইসরাইল তার দখলকৃত সিনাই উপত্যকা মিশরের কাছে হস্তান্তর করে। এরপরে আরবদেশগুলো ফিলিস্তিনের ব্যাপারে ইসরাইলের সাথে কোন বিষয়ে আলোচনা করতে উৎসাহী হতে দেখা যায়  না।  ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলিদের নির্মম অত্যাচার সম্পর্কেও আরব দেশগুলো ছিলো চুপ।  সম্প্রতি,  ২০২০ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহারাইন ইসরাইলকে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দান করে যা স্বাধীন ফিলিস্তিনের  পথে নতুন বাধা হয়ে দাঁড়ায়  ।

ভারতীয় উপমহাদেশের স্বদেশী আন্দোলনের মতো ফিলিস্তিনের প্রথম ইন্তিফিদা নামে  একটা আন্দোলন শুরু হয় যেটা প্রাথমিকভাবে অহিংস আন্দোলন হিসেবে শুরু হলেও  দিনশেষে সহিংসতার  সৃষ্টি  করে,  আর এর ফলে নতুন এক বাহিনীর সৃষ্টি হয়, হামাস ।

আরব দেশগুলোর ফিলিস্তিন ইস্যুতে দূরে থাকার ফলে ফিলিস্তিনি নিজেদের মধ্যে বিভিন্ন সংগঠন গড়ে ওঠে যার মধ্যে প্রধান দুইটি হলো  পিএল ও ( PLO)   এবং হামাস।  পিএলও যুদ্ধ- বিদ্রোহের ফলে খুব বেশি সুবিধা করতে না পেরে দিনশেষে মেনে নেয় যে ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিবে  তার পরিবর্তে  ইসরাইল পিএলওকে সন্ত্রাসী সংগঠন  এর তালিকা থেকে বের করে এবং ফিলিস্তিনিদের প্রকৃত  প্রতিনিধি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। আর এটাই ছিল অসলো অ্যাকর্ডের মূল বিষয়।  যেটা ১৯৯৩ সালের সম্পন্ন হয়েছিল।  কিন্তু একসময় এই  শান্তি প্রক্রিয়া  ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয় এবং  শুরু হয় দ্বিতীয়  ইন্তিফিদা । যেটা প্রথম ইন্তিফিদার চেয়েও অনেক বেশি বেসামরিক মানুষের মৃত্যু ঘটায়।

 ইসরায়েলের কিছু পদক্ষেপের পর  ফিলিস্তিনিদের মধ্যে দুইটা ভাগ সৃষ্টি হয় (গাজা উপত্যকা থেকে সেনা প্রত্যাহার এবং নির্বাচন) । এক শ্রেণী  ছিল (PLO)  যারা মনে করত আলোচনা করে সকল সমস্যার সমাধান করা সম্ভব এবং ইসরায়েল নামে একটা রাষ্ট্র সহাবস্থান করবে ফিলিস্তিনের সাথে।   অপরদিকে হামাস মনে করতো যে সশস্ত্র বিদ্রোহ ছাড়া ইসরায়েলকে হটানো অসম্ভব।  ইসরাইলের অস্তিত্ব ফিলিস্তিনিদের জন্য হুমকিস্বরূপ সেজন্য ইসরায়েলের পতন ছাড়া শান্তি অসম্ভব  ।

শুধু যে ফিলিস্তিনিদেরই চিন্তার পরিবর্তন হয় এমন না বরং দ্বিতীয়  ইন্তিফিদার পর ইসরায়েল  তার পদ্ধতি পরিবর্তন করে।  হামাস যেরকমটা ভাবে ইসরায়েলকে নিয়ে,  ইসরায়েলও অনেকটা একই রকমভাবে ভাবতে শুরু করে ফিলিস্তিন সম্পর্কে।  ইসরায়েল,  ফিলিস্তিনের সাথে আলোচনায় না বসে,  বিষয়টাকে নিজেদের মতো সামলাতে থাকে এবং শুরু হয় ফিলিস্তিনিদের ওপর অন্যরকম এক নির্যাতন। ইসরাইল, ফিলিস্তিনিদের বসবাসের জায়গার মধ্যে নিজেদের বাসস্থান তৈরি করতে থাকে , বিভিন্ন ওয়াল দিয়ে ফিলিস্তিনিদের পবিত্র শহর জেরুজালেমের এবং পানির উৎস থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে।   চলাফেরায় বিভিন্ন রকমের আদেশ আরোপ করে এবং মানবিক সংকট সৃষ্টি করে।  ওয়াল এর মধ্যে ফিলিস্তিনিদের কাছ থেকে মৌলিক অধিকারগুলো আস্তে আস্তে কেড়ে নিতে থাকে।  নিয়মিত এরকম  বিষয়গুলো ঘটতে থাকে ফিলিস্তিনিদের ওপর । পশ্চিম তীরের মানুষদের  মৌলিক অধিকারগুলোও কেড়ে নিতে থাকে।   অপরদিকে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েল সেনা প্রত্যাহার করে ঠিকই কিন্তু  গাজা উপত্যকাকে পুরো পৃথিবী থেকে আলাদা করে দেয়া হয়।  আকাশপথ,  জলপথ,  স্থলপথ অনেকটা বন্ধ করে দেয় ।  ফলে এই উপত্যকায়  মানবিক সংকটের সৃষ্টি হয়।  আর মাঝে মধ্যে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে  যুদ্ধ বলে,  বেসামরিক নাগরিকদের ওপর বম্বিং যেন সাধারণ একটা বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। এই দুঃসময়ে কোন আরব দেশই ফিলিস্তিনের পাশে নেই ,  এমনকি মানবাধিকারের বুলি আউড়ানো  পশ্চিমা দেশগুলোও এই সংকট নিয়ে চুপ।  

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলারের নাৎসি বাহিনী যেভাবে ইহুদীদের ধ্বংস করেছিল ঠিক একইভাবে এখন ইহুদিরা  ফিলিস্তিনের  ধ্বংস করার প্রক্রিয়া লেগেছে   বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা এমনকি বিশ্বের বড় বড় শক্তিধর দেশগুলোও  এ বিষয়ে খুব বেশি মাথা ঘামায় না। যার ফলস্বরূপ বর্তমানে ফিলিস্তিনিরা পড়েছে তাদের নিজস্ব অস্তিত্ব সংকটে।

 

 

লিখেছেন,

মোঃ আশিকুল হাবিব

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

 

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ অনুমতি ব্যতিত লেখা আংশিক বা সম্পূর্ণ কপি করা অপরাধ। এই প্রবন্ধের মতামত লেখকের নিজস্ব এবং আমাদের নীতিকে প্রতিফলিত করে না।

 

Leave a Reply