You are currently viewing উদ্যোক্তা কথনঃ পর্ব-০৪, ‘বিষয়ঃ অর্থ ও আর্থিক পরিকল্পনা’

উদ্যোক্তা কথনঃ পর্ব-০৪, ‘বিষয়ঃ অর্থ ও আর্থিক পরিকল্পনা’

 

ইতিমধ্যে আপনারা কিভাবে নতুন ব্যবসার পরিকল্পনা উদ্ভাবন এবং পরিকল্পনা নির্বাচন সম্পর্কে জেনেছেন। পরিকল্পনা নির্বাচন শেষেই উদ্যোগের সকল সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্বে দায়িত্ব আসে ব্যবসার একটি সঠিক আর্থিক পরিকল্পনা করার। বেশিরভাগ ব্যবসাকে লাভজনক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কয়েকমাস এমনকি কয়েকবছর লেগে যেতে পারে। আপনার ব্যবসা শুরু করার জন্য কত মূলধন প্রয়োজন হবে এবং সেই মূলধন কোথা থেকে আসবে তা নির্ধারণ করে আপনার আর্থিক পরিকল্পনা শুরু করতে হবে। 

ধরুন আপনি শুরু করতে চাচ্ছেন কাপড়ের ব্যবসা।প্র‍থমত  অর্থের উৎসসমূহ আলাদাভাবে বিবেচনা করতে হয়। যেমন-  

– নিজস্ব মূলধন

-উদ্যোক্তার আত্মীয়স্বজন বা পরিচিতজনদের থেকে ঋণ

-বিভিন্ন সংস্থা থেকে প্রাপ্য অর্থ

-ব্যাংক থেকে ঋণ।

 

একেক জায়গা থেকে অর্থ সংকলন করলে একেক সুবিধা। যেমন আপনার অর্থ হলে বা পারিবারিক হলে বাড়তি অর্থ ফেরত দিতে হয় না, বা ফেরত দেওয়ার চাপ থাকেনা।  আবার এতে অলসতা আসতে পারে যা ব্যবসার জন্যে ভাল নয়।

দ্বিতীয়ত আপনাকে আপনার ব্যযয়ের খাত গুলো লিপিবদ্ধ করতে হবে।  একেক ব্যবসার একেক খাত থাকতে পারে। 

এবার আসি,ব্যবসার শুরুতে আপনার কি কি খরচ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারে:

– ব্যবসা নিবন্ধন ফি

– ব্যবসা লাইসেন্সিং ও পারমিট 

-সম্পত্তির উপর ডাউনপেমেন্ট

-সরঞ্জামের পেমেন্ট ইত্যাদি 

শুরুর খরচের পরেই আসে অপারেটিং খরচ।অপারেটিং খরচ আপনার ব্যবসা চলমান রাখার খরচ । সেই বিষয়গুলি চিন্তা করুন যেগুলি আপনি প্রতি মাসে পরিশোধ করতে যাচ্ছেন। অপারেটিং খরচের ক্ষেত্রে আপনার তালিকা অন্তর্ভুক্ত হতে পারে:

-বেতন (আপনার এবং কর্মীদের)

-ভাড়ার খরচ

-টেলিযোগাযোগ

-বিতরণ (পণ্য) 

-কর্মীদের পদোন্নতি

-ঋণ পরিশোধ

-কাজে ব্যবহৃত জিনিষপত্র

-জিনিষপত্রের রক্ষণাবেক্ষণ

-ইত্যাদি 

একবার আপনার অপারেটিং খরচ তালিকা সম্পূর্ণ হয়ে গেলে, আপনার ব্যবসা প্রতি মাসে চলমান রাখার জন্য আপনাকে কত খরচ করতে হবে তা এই তালিকা দেখে বুঝতে পারবেন।

খরচ বিবেচনা করার পর তিনটি আর্থিক বিবৃতি তৈরি করতে পারেন। যেমন: 

 আয় বিবৃতি, নগদ প্রবাহ সংরক্ষণ, ব্যালেন্স শীট।

 

আয় বিবৃতি : 

আয় বিবৃতি একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আপনার রাজস্ব, খরচ এবং লাভ দেখায়। এটি আপনার ব্যবসার একটি আর্থিক প্রতিচ্ছবি যা দেখায় যে আপনার ব্যবসা সে সময়ে লাভজনক  কিনা।

আয় বিবৃতি হিসাব করতে প্রথমে একটি চার্ট তৈরি করবেন। যেখানে ক্রমানুসারে আপনার রাজস্ব, মোট বিক্রয় থেকে কেনাকাটা,পণ্য ডেলিভারি বাবদ খরচ ও অন্যান্য খরচ বাদ দিয়ে মোট লাভের / ক্ষতির পরিমাণ জানতে পারবেন।

 

নগদ প্রবাহ নিরূপণ :

নগদ প্রবাহ বিবরণ দেখায় কিভাবে নগদ অর্থ  আপনার ব্যবসার মধ্যে এবং বাইরে প্রবাহিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। 

 

ব্যালেন্স শীটঃ 

ব্যালেন্স শিট হল আর্থিক বিবৃতিগুলির সর্বশেষ যেটি আপনাকে ব্যবসায়িক পরিকল্পনার আর্থিক পরিকল্পনা বিভাগে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এটি আপনার ব্যবসার সমস্ত আর্থিক তথ্য সারসংক্ষেপ প্রকাশ করে।

অবশেষে আপনার সকল লাভ ক্ষতি হিসাব করে আপনার আর্থিক পরিকল্পনা থেকে সিদ্ধান্ত নিবেন এই নির্বাচিত উদ্যোগে আগানো কতটা সফলতা আনবে। এবং উদ্যোগ শুরুর পরেও আর্থিক পরিকল্পনা আপনাকে ব্যবসার যেকোনো ধাপে যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে।

আপনি একজন উদ্যোক্তা হলে নিচের ফর্মটি পূরণ করার অনুরোধ রইলো:

https://docs.google.com/forms/d/e/1FAIpQLSfOtuu8odejVxWf8RwbfwAvtZvpZ4E6ehEXqC7aNK7N2zO8Rw/viewform

 

 

Leave a Reply