You are currently viewing কিউবার বিপ্লব

কিউবার বিপ্লব

 

কিউবার বিপ্লব

১৯৫২ সালে কিউবায় জেনারেল বাতিস্তা সেই দেশের প্রেসিডেন্টকে সরিয়ে এবং সকল নির্বাচন বাতিল করে নিজেই ক্ষমতায় বসে। এই ঘটনা সেই সময়ের এক তরুণ আইনজীবী ফিদেল কাস্ত্রোকে ক্ষুব্ধ করে তোলে। কাস্ত্রো যে কোনও মূল্যে বাতিস্তাকে ক্ষমতা থেকে সরানোর জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন। হাভানা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে পড়ার সময়, ফিদেল কাস্ত্রো তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় প্রেসিডেন্ট ফালজেন্সিও বাতিস্তা এবং কিউবার উপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক প্রভাবের বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী সমালোচনা নিবন্ধ লিখে। তিনি এ ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে ওঠেন এবং কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সমর্থ হন। অবশেষে তিনি ১৯৫৩ সালে ছোট গেরিলা দল নিয়ে মনকাডা ব্যারাকে একটি ব্যর্থ আক্রমণ করেন, এবং তার পর কারারুদ্ধ হন ও পরে ছাড়া পান। এর পর তিনি বাতিস্তার সরকার উৎখাতের লক্ষ্যে সংগঠিত হওয়ার জন্য মেক্সিকো যান।

১৯৫৫ সালের জুন মাসে কাস্ত্রোর সঙ্গে বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিপ্লবী চে গেভারার পরিচয় হয়। কাস্ত্রোর সাথে চে’র প্রথম সাক্ষাতে দীর্ঘ আলাপচারিতা হয় এবং চে বলেন যে কিউবার সমস্যা নিয়ে তিনি চিন্তিত। সেই সময় চে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্রাজ্যবাদের ঘোর বিরোধী ছিলেন এবং তিনি বিশ্বাস করতেন এই আগ্রাসি তত্পরতার আশু সমাপ্তি প্রয়োজন। তার পর চে ২৬শে জুলাই ফিদেল কাস্ত্রোর আন্দোলন দলের সদস্য হন।

বিপ্লবের পরিকল্পনায় কাস্ত্রোর প্রথম পদক্ষেপ ছিল মেক্সিকো থেকে কিউবায় আক্রমণ চালানো। ১৯৫৬ সালের ২৫শে নভেম্বর তিনি কিউবার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। পৌঁছনোর সাথে সাথেই বাতিস্তার সেনাবাহিনী কর্তৃক আক্রান্ত হন। তাঁর ৮২ জন সহচর মারা যান অথবা কারাবন্দি হযন, বেঁচে ছিলেন মাত্র ২২জন।

সিয়েরা মস্ত্রা পর্বতমালায় বিদ্রোহীদের ছোট্ট একটা অংশ পুনরায় সংঘবদ্ধ হতে পেরেছিলেন। সেখানে তাঁরা ২৬ জুলাই স্থানীয় লোকজনদের সহযোগিতা লাভ করেছিলেন। অবশেষে ১৯৫৯ সালের জানুয়ারি মাসে কাস্ত্রোর বাহিনী বাতিস্তাকে পরাজিত করতে সমর্থ হয়। এর কিছু দিন পরেই কাস্ত্রো কিউবার প্রধানমন্ত্রী হন।

যুদ্ধ চলাকালীন চে বিদ্রোহী সেনাবাহিনীর অখণ্ড অংশ হয়ে গিয়েছিলেন। ফিদেল কাস্ত্রো গেভারাকে গ্রেনেড তৈরির কারখানা, রুটি সেঁকার জন্য চুল্লি প্রস্তুত এবং নিরক্ষর সঙ্গীদের লেখাপড়ার জন্য পাঠশালা তৈরির দায়িত্ব দেন। বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিন তিন বছর পর চে গেভারাকে ’কাস্ত্রোর মস্তিষ্ক’ বলে আখ্যায়িত করেছিল।

সূত্র: somewhereinblog.net ও উইকিপিডিয়া

Leave a Reply