You are currently viewing গ্রিক সভ্যতা
গ্রিক সভ্যতা

গ্রিক সভ্যতা

  • Post category:BCS / Study

প্রায় তিন হাজার বছর আগে পৃথিবীতে যে গোটা খানেক সভ্যতা গড়ে উঠেছিল তার মধ্যে গ্রিক সভ্যতা ছিল প্রথম।ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে গ্রিস জাতি ও শাসিত অঞ্চলের সীমারেখায় নানা পরিবর্তন এসেছে। এই কারণে গ্রিসের ইতিহাসেও বিভিন্ন প্রকার বহিরাগত উপাদান এসে মিশেছে।গ্রিসের রাজধানী এথেন্সের জনসংখ্যা ছিল ৩ লাখ। এর মধ্যে ১ লাখ ছিল কৃতদাস, অর্ধেক নারী। গ্রিকরা বিশ্বাস করতো নারীদের আত্মা নেই। সুতরাং থাকলো ১ লাখ পুরুষ। আবার ১ লাখ থেকে যদি বাদ দিয়ে দেওয়া হয় শিশু-কিশোর, থাকলো ৫০ হাজার লোক, বহিরাগত ৫০ হাজার লোক।

ভৌগলিক অবস্থান: 

প্রাচীন গ্রিক সভ্যতা গড়ে উঠেছিল ভূমধ্যসাগরকে কেন্দ্র করে। গ্রিসকে হেলেনীয় সভ্যতার দেশ বলা হয়। গ্রিসের প্রধান শহর এথেন্সে শুরু থেকেই যে সংস্কৃতি গড়ে উঠেছিল, তাকে বলা হয় হেলেনিক সংস্কৃতি। গ্রিস উপদ্বীপ ছিল এ সংস্কৃতির মূল কেন্দ্র। খ্রিস্টপূর্ব ৩৩৭ অব্দ পর্যন্ত হেলেনিক সভ্যতা টিকে ছিল। এ সময় মিশরের আলেকজান্দ্রিয়াকে কেন্দ্র করে গ্রিক সংস্কৃতি ও অগ্রিক সংস্কৃতির মিশ্রণে এক নতুন সংস্কৃতির জন্ম হয়। ইতিহাসে এ সংস্কৃতির পরিচয় হয় হেলেনিস্টিক সংস্কৃতি নামে।

ধর্ম: 

গ্রিকরা বহুদেবতায় বিশ্বাসী ছিল। গ্রিকদের প্রধান দেবতা ছিলেন জিউস। দেবতা এপােলাে ও দেবী এথেনাও ছিলেন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। গ্রিকবাসী বিশ্বাস করত দেবতারা বাস করেন উত্তর গ্রিসে অলিম্পাস পর্বতের চূড়ায়।

গ্রিক দেবী বা দেবতার নাম ও পরিচতি:

আফ্রোডাইট (Aphrodite) – ভালবাসা, রােমাঞ্চ এবং সৌন্দর্যের দেবী।

অ্যাপােলো (Apollo) – সূর্য, আলাে, চিকিৎসাবিদ্যা এবং সঙ্গীতের দেবতা।

এরিস (Ares) – যুদ্ধদেবতা।

আরটেমিস (Artemis) – শিকার, বন, উর্বরতা এবং চাঁদের দেবী।

হারমেস (Hermes) – ব্যবসা বিষয়ক দেবতা 

হেরা (Hera) – বিবাহ বন্ধন অটুট রাখার দেব। (জিউসের স্ত্রী)।

 এথেন (Athena) – প্রজ্ঞার দেবী 

 ডিমিটার (Demeter) – কৃষি বিষয়ক দেবী।

 জিউস (Zeus) – দেবতাদের রাজা।

দর্শণ :

দর্শণের চর্চা সেই প্রাচীনকাল থেকেই।

আলেকজান্ডার, সক্রেটিস, এরিস্টটল, প্লেটু, হিরোডোটাস, পিথাগোরাস, আর্কিমিডিস, ইউক্লিড প্রমুখ বিশ্ববিখ্যাত ব্যক্তি গ্রীসে জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষা ও সংস্কৃতি, জ্ঞান-বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে তাদের অবদান অবিস্মরনীয়। বিশ্বজগৎ যখন সভ্যতার দিকে হাঁটি হাঁটি করছিল, গ্রিক জাতি তখন জ্ঞানের মশাল জ্বালিয়ে চারদিক আলোকিত করেছিল।

বিজ্ঞান:

বিজ্ঞানের দিক থেকে তারা অনেক এগিয়ে ছিলেন।তারাই সর্বপ্রথম পৃথিবীর মানচিত্র অঙ্কন করেছিলেন।তাছাড়া তারাই প্রথম আবিষ্কার করেছিলেন পৃথিবী একটি গ্রহ।

স্থাপত্য ও ভাস্কর্য নির্মাণ: 

কয়েকজন খ্যাতিমান ভাস্কর হলেন ফিদিয়াস, মাইনর,প্রাকসিটেলেস অন্যতম।

ভাস্কর্যের মধ্যে এথেন্সের দেবী,এথেনার মন্দির অন্যতম।

ধর্ম,দর্শণ,বিজ্ঞান, স্থাপত্য ও ভাস্কর্য  নির্মাণ সকলক্ষেত্রেই ভূমিকা রেখে মাত্র ২০০ বছরে সৃষ্টি হলো পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সভ্যতা গ্রিক সভ্যতা।

Leave a Reply