You are currently viewing চৈনিক সভ্যতা

চৈনিক সভ্যতা

চৈনিক সভ্যতা

এশিয়ার অন্যতম মানব সভ্যতা হলো চৈনিক সভ্যতা। প্রায় ৪০০০ থেকে ৫০০০ বছর আগে, হোয়াংহো ও ইয়াংসিকিয়াং নদী কে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে চৈনিক সভ্যতা। এই সভ্যতার সীমারেখা উত্তরে মরুভূমি থেকে শুরু করে পশ্চিমে তিব্বতের মালভূমি ও দক্ষিণ-পশ্চিমে প্রশান্ত মহাসাগর পর্যন্ত ছিল। 

চৈনিক সভ্যতার মানুষেরা নানাভাবে নানান সময় বহিঃশত্রুর আক্রমণের শিকার হয়েছে এবং কালের পরিবর্তনে ছোট ছোট রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়েছে কিন্তু, কখনোই তারা বহিঃশত্রুর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে চলে যায়নি। এটি পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল ঘটনা।

ধারনা করা হয় পিকিং মানব প্রজাতি থেকে তাদের উৎপত্তি হয়েছে। খ্রিস্টপূর্ব ২০০০ অব্দে চৈনিক সভ্যতা শিল্প, সাহিত্য, প্রকৌশল বিদ্যা, গনিত শাস্ত্র ও চিকিৎসা বিজ্ঞানে অনেক এগিয়েছে।

তখনকার সময়ে তারা ইয়াংসিকিয়াং নদীর বন্যা প্রতিরোধ ব্যাবস্থা অাবিস্কার করে এবং তারা এমন একটি প্রযুক্তি আবিস্কার করেছিলো যা, সূর্যের আলোকে ব্যবহার করে সময়, তারিখ ও মৌসুমের আপডেট দিতে পারতো, অর্থাৎ এ প্রযুক্তি ক্যালেন্ডার হিসেবে কাজ করত।  

এ সময়ে গড়ে ওঠা অন্যান্য সভ্যতা গুলো নির্মাণ কাজে পাথরের ব্যবহার করলেও চৈনিক সভ্যতার নির্মান কাজে বাঁশ, মাটি এবং কাঠের ব্যাবহার বেশি ছিলো।

তখনকার সময়ে তারা বর্ণমালা হিসেবে প্রতীক ব্যাবহার করতো, এ পর্যন্ত প্রায় ৮০,০০০ এর অধিক প্রতীক পাওয়া গিয়েছে। এ প্রতিক গুলোর মাধ্যমে সহজেই তাদের পান্ডুলিপি গুলো বোঝা যায়। 

বলা হয়েথাকে যে, এই সভ্যতা থেকেই কাগজ,  কলম এবং ছাপার টাইপের প্রচলন শুরু হয়। 

তারা তাদের পরিবারের প্রধান, গোত্রের প্রধান ও রাষ্ট্রের প্রধানের আনুগত্যতা পালন করতো।

মূলত আধুনিক রাষ্ট্রের ধারনা তাদের কাছথেকেই এসেছে। 

প্রথম আমলাতন্ত্র ও সিভিলসার্ভিস শুরুহয় চৈনিকদের হাত ধরেই। সিভিলসার্ভিস পরিক্ষার মাধ্যমে তারাই প্রথম আমলাদের নিয়োগের প্রচলন শুরু করে।

পৃথিবীর সকল সভ্যতাতেই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার নজির পাওয়া গেছে আধুনিক সমরাস্ত্র উৎপাদনে চৈনিক সভ্যতা অনেক এগিয়ে ছিল তারা নানা ধরনের ছুরি তলোয়ার ব্যবহার করত প্রথমদিকে তারা এসব ব্রোঞ্জ দিয়ে বানাতো, পরবর্তীতে স্টিলের ব্যাবহার শুরু হয়।

তখনকার সময়ে তারা খুবই সুশৃঙ্খল জাতী হিসেবে গড়ে উঠেছিল।

লিখেছেন,

Pranto Karmokar 

Govt BM College, Barishal)

Leave a Reply