You are currently viewing বক্সবন্দী ভাবনা জগৎ

বক্সবন্দী ভাবনা জগৎ

  • Post category:Career

কাজ বেশি করার একটা মূলমন্ত্র হচ্ছে কাজ না করা!

অদ্ভুত ব্যাপার! তাইনা?

আচ্ছা, কাজ কী?

– কিছু করা, যেটা করার বিনিময়ে কিছু চাচ্ছেন সেটাই কাজ!

বেশিরভাগ কাজেরই বিনিময় থাকে। যেমন অর্থ, দ্রব্য, সম্মান ইত্যাদি। 

আচ্ছা, 

ছোট বেলায় স্কুল কলেজের বইয়ের ভেতর কমিক্স বা গল্পের বই লুকিয়ে পড়েছেন কে কে?

অনেকেই পড়েছেন, আমিও পড়েছি!

তো আমাদের যদি এতই বই পড়ার ইচ্ছা তাহলে টেক্সট বই পড়িনি কেন?! কারণ ওটা অনেকটা পড়তে বাধ্য করা হয়, পড়ে এক্সাম দিতে হয়! আরো কত কী!

আপনি যখন গণনা করেন দিনে কত ঘন্টা পড়েছেন,

আপনি কি গল্পের বইয়ের সময় যোগ করেন?

নাহ! আপনি জাস্ট ক্লাস বা জবের পড়াটাই যোগ করেন!

কেন? 

আচ্ছা,

আপনারা অনেকেই শখেই বাগান করেন। বাসার বারান্দায় গাছ লাগান, পরিচর্যা করেন! ফুল ফুটলে কী স্নিগ্ধ লাগে সব! অসাধারণ! 

ফুল ভর্তি বাগানে কেউ মন খারাপ কিংবা বিরক্তি নিয়ে থাকতে পারে? 

অথচ যারা নার্সারিতে কাজ করে অনেকেই বিরক্তি নিয়ে করে! যত্রতত্র ফুল গাছ সহ ছুড়ে ফেলে! 

কেন? 

আপনার আর উনার পার্থক্য কী?

গল্পের বই আর টেক্সট বইয়ে পার্থক্য কী?

পারু দেবদার গল্পের পাশাপাশি হাইজেনবার্গ এর অনিশ্চয়তার নীতি জানলে ক্ষতি কী?

মৃত্যুঞ্জয়ের জীবনের মোড় জানার পাশাপাশি যদি আকাশলাল আর দিপা বলীর গল্প জেনে অল্প করে আইনস্টাইনের থিউরি অফ রিয়েলিটিভিটি কিংবা ডপলার ক্রিয়ার গল্প জানি,  ক্ষতি কী? এসবে এত অনিহা অবহেলা কেন?

কারণ একটাই মাইন্ড সেট! 

আমাদের ধরে বেঁধে খাওয়াতে চায় তো, খাবার দেখলেই ভয় পেয়ে যাই!

কাজকে যদি কাজ না ভাবেন,মজা হিসেবে নেন তখনি দেখবেন আর প্রেশার লাগবে না! জোর করে কাজ করতে যাবেন না,  নিজেকে বুঝেন, কী ভাল লাগে আপনার? কীসে মজা পান? সেটা করেন, সমস্যা নাই। 

তবে এর পাশাপাশি নিজের লিমিটেশন বুঝার চেষ্টা করুন। 

শুধু মন যা চায় সেটা করতে চাইলেও সমস্যা! ধরুন, আপনার ভোকাল কর্ডে সমস্যা, আপনি রক মিউজিক করতে চাচ্ছেন, না পেরে সারাদিন ডিপ্রেশনে থাকছেন! তাহলে তো হবে না!

সবসময় সব আমাদের পছন্দমতো হবে না।

নানান কারণে আমাদের কম্প্রোমাইজ করতে হয়, নিজের ভালোর জন্যে, পরিবারের জন্যে,  পছন্দের মানুষের জন্য, দেশের জন্যে!

এসব মেনে নিতে শিখুন!

নিজের ভাল লাগা, আর কী প্রয়োজন দুটার কমন অংশ খোঁজার চেষ্টা করুন, তাহলেই সবচেয়ে ভাল সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। কিছুতেই আটকে থাকবেন না!

আর, 

ভাল কাজে অবদান রাখার চেষ্টা করুন, কোন কারণ ছাড়া ভাল কাজে যুক্ত হোন! মানুষকে সাহায্য করুন! শান্তি পাবেন!

লাইফের সব ব্যালেন্স শীটের ডেবিট ক্রেডিট সমান করার চেষ্টা করবেন না। কিছুটা কম বেশি দিয়েই না হয় চলুন। ক্ষতি কী!

শুভ কামনা সবার জন্যে।

This Post Has One Comment

  1. হুমাইদি হাসান।

    অসাধারণ! আমি আসলেই মুগ্ধ হয়েছি। রাইটিংয়ের ধরন দেখে। আশা করি এভাবে আরো কনটেন্ট পাবো।

Leave a Reply