বাংলাদেশের নদ-নদী সম্পর্কিত সব

♦ বিভিন্ন নদ নদীর উৎপত্তিস্থল ও প্রবেশপথ
❖ পদ্মা নদীর উৎপত্তিস্থল হিমালয়ের গাঙ্গোত্রী হিমবাহ এবং প্রবেশপথ চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
❖ সুরমা নদীর উৎপত্তিস্থল আসামের লুসাই পাহাড় এবং প্রবেশপথ সিলেট।
❖ মেঘনা নদীর উৎপত্তিস্থল আসামের নাগা-মণিপুর অঞ্চলের দক্ষিণ লুসাই পাহাড় এবং প্রবেশপথ সিলেট।
❖ যমুনা নদীর উৎপত্তিস্থল তিব্বতের মানস সরােবর এবং প্রবেশপথ কুড়িগ্রাম।
❖ ব্রহ্মপুত্র নদীর উৎপত্তিস্থল তিব্বতের কৈলাস শৃঙ্গের মানস সরােবর এবং প্রবেশপথ কুড়িগ্রাম।
❖ করতােয়া নদীর উৎপত্তিস্থল সিকিমের পার্বত্য অঞ্চল এবং প্রবেশপথ পঞ্চগড় ও দিনাজপুর।
❖ তিস্তা নদীর উৎপত্তিস্থল সিকিমের পাবর্ত্য অঞ্চল এবং প্রবেশপথ নীলফামারী।
❖ কর্ণফুলী নদীর উৎপত্তিস্থল মিজোরামের লুসাই পাহাড় এবং প্রবেশপথ রাঙ্গামাটি।
❖ সাঙ্গু নদীর উৎপত্তিস্থল আরাকান পাহাড় এবং প্রবেশপথ বান্দরবান।
❖ ফেনী নদীর উৎপত্তিস্থল খাগড়াছড়ির পার্বত্য মাটিরাঙা ও পানছড়ির মধ্যবর্তী ভগবান টিলা।
❖ গােমতি নদীর উৎপত্তিস্থল ত্রিপুরা পাহাড় এবং প্রবেশপথ কুমিল্লা।
❖ নাফ নদীর উৎপত্তিস্থল আরাকান পাহাড় এবং প্রবেশপথ কক্সবাজার।
❖ মাতামুহুরী নদীর উৎপত্তিস্থল লামার মইভার পর্বত এবং প্রবেশপথ পার্বত্য চট্টগ্রাম।
❖ হালদা নদীর উৎপত্তিস্থল খাগড়াছড়ির বাদনাতলী পর্বত।

♦ নদী তীরবর্তী স্থান ও শহর:

❖ ঢাকা যে নদীর তীরে অবস্থিত- বুড়িগঙ্গা।
❖ চট্টগ্রাম যে নদীর তীরে অবস্থিত- কর্ণফুলী।
❖ চন্দ্রঘোনা যে নদীর তীরে অবস্থিত- কর্ণফুলী।
❖ কুমিল্লা যে নদীর তীরে অবস্থিত- গোমতী।
❖ খুলনা যে নদীর তীরে অবস্থিত- রূপসা।
❖ ভৈরব যে নদীর তীরে অবস্থিত- মেঘনা।
❖ নরসিংদী যে নদীর তীরে অবস্থিত- মেঘনা।
❖ চাঁদপুর যে নদীর তীরে অবস্থিত- মেঘনা।
❖ বরিশাল যে নদীর তীরে অবস্থিত- কীর্তনখোলা।
❖ বাংলাবান্ধা যে নদীর তীরে অবস্থিত- মহানন্দা।
❖ সুনামগঞ্জ যে নদীর তীরে অবস্থিত- সুরমা।
❖ রংপুর যে নদীর তীরে অবস্থিত- তিস্তা।
❖ গাজীপুর যে নদীর তীরে অবস্থিত- তুরাগ।
❖ টঙ্গী যে নদীর তীরে অবস্থিত- তুরাগ।
❖ সিলেট যে নদীর তীরে অবস্থিত- সুরমা।
❖ মাদারীপুর যে নদীর তীরে অবস্থিত- পদ্মা।
❖ রাজশাহী যে নদীর তীরে অবস্থিত- পদ্মা।
❖ শরিয়তপুর যে নদীর তীরে অবস্থিত- পদ্মা।
❖ রাজবাড়ী যে নদীর তীরে অবস্থিত- পদ্মা।
❖ মহাস্থানগড় যে নদীর তীরে অবস্থিত- করতোয়া।
❖ বগুড়া যে নদীর তীরে অবস্থিত- করতোয়া।
❖ পঞ্চগড় যে নদীর তীরে অবস্থিত- করতোয়া।
❖ নাটোর যে নদীর তীরে অবস্থিত- আত্রাই।
❖ টেকনাফ যে নদীর তীরে অবস্থিত- নাফ।
❖ মংলা যে নদীর তীরে অবস্থিত- পশুর।
❖ টাঙ্গাইল যে নদীর তীরে অবস্থিত- যমুনা।
❖ মানিকগঞ্জ যে নদীর তীরে অবস্থিত- যমুনা।
❖ কুষ্টিয়া যে নদীর তীরে অবস্থিত- গড়াই।
❖ গোপালগঞ্জ যে নদীর তীরে অবস্থিত- মধুমতি।
❖ নড়াইল যে নদীর তীরে অবস্থিত- চিত্রা।
❖ বান্দরবান যে নদীর তীরে অবস্থিত- সাঙ্গু।
❖ কুড়িগ্রাম যে নদীর তীরে অবস্থিত- ধরলা।
❖ ব্রাহ্মণভাড়িয়া যে নদীর তীরে অবস্থিত- তিতাস।
❖ খাগড়াছড়ি যে নদীর তীরে অবস্থিত- চেঙ্গী ।
❖ মৌলভীবাজার যে নদীর তীরে অবস্থিত- মনু।

♦ নদ-নদীর বিচিত্রতা:

❖ কুমিল্লার দুঃখ- গােমতী নদী।
❖ চট্টগ্রামের দুঃখ- চাকতাই খাল।
❖ পশ্চিমা বাহিনীর নদী- বিল ভাকাতিয়া।
❖ উত্তরাঞ্চলের লাইফ লাইন- তিস্তা নদী।
❖ পশ্চিমবঙ্গের লাইফ লাইন- গড়াই নদী।
❖ মহিলা নদী- দিনাজপুরে।
❖ কারখানা নদী- পটুয়াখালীতে।
❖ সবচেয়ে বেশি চরবিশিষ্ট নদী- যমুনা।
❖ দীর্ঘতম পথ অতিক্রমকারী নদী- ব্ৰহ্মপুত্র (২৮৯৭ কি.মি.)।
❖ দীর্ঘতম নদ- ব্ৰহ্মপুত্র (বিশ্বে ২২তম)।
❖ ভূমিকম্পের (১৭৮৭) কারণে গতিপথ পরিবর্তনকারী নদী- ব্ৰহ্মপুত্র।
❖ বন্যার কারণে গতিপথ পরিবর্তনকারী নদী- তিস্তা।
❖ মানুষের নামে নামকরণ নদী- রূপসা (রূপলাল সাহা)।
❖ আন্তর্জাতিক নদী- পদ্মা (ভারতে নাম- গঙ্গা)।

♦ নদীর উপনদী ও শাখা নদী:

❖ বিভিন্ন স্থানে উৎপত্তি হয়ে কোনাে বড় নদীতে এসে পতিত হলে সেসব নদীকে বলে- উপনদী।
❖ মূল নদীর প্রবাহ নিষ্কাশনে সহায়তা করে অর্থাৎ বড় কোনাে নদী থেকে উৎপত্তি হয় যেসব নদী- শাখা নদী।
❖ যেসব নদীর নিজস্ব অববাহিকা আছে, অন্যকোনাে বড় নদীতে না পড়ে সরাসরি সমুদ্রে পতিত হয়- স্বাধীন নদী।
❖ পদ্মা নদীর উপনদী- মহানন্দা, কপােতাক্ষ, পূনর্ভবা।
❖ পদ্মা নদীর শাখা নদী- মাথাভাঙ্গা, গড়াই, দুধকুমার, মধুমতী, ভৈরব, আড়িয়াল খাঁ।
❖ মেঘনা নদীর উপনদী- গােমতী, তিতাস, মনু, বাউলাই।
❖ যমুনা নদীর উপনদী- করতােয়া, আত্রাই, তিস্তা, ধরলা।
❖ যমুনা নদীর শাখা নদী- ধলেশ্বরী।
❖ ব্রহ্মপুত্র নদীর উপনদী- তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার, করতােয়া, আত্রাই।
❖ ব্রহ্মপুত্র নদের শাখানদী- বংশী, শীতলক্ষ্যা, বানার, শ্রীকালী, সাতিয়া।
❖ ধলেশ্বরী নদীর উপনদী- ধরলা, তিস্তা, করতােয়া।
❖ ধলেশ্বরী নদীর শাখা নদী- বুড়িগঙ্গা।
❖ কর্ণফুলী নদীর উপনদী- হালদা, বােয়ালখালী, কাসালং, মাইনি, কাপ্তাই।
❖ মহানন্দা নদীর উপনদী- পুনর্ভবা, নাগর, টাঙ্গন, কুলিখ, পাগলা।
❖ মাথাভাঙ্গা নদীর শাখা নদী- চিত্রা, নবগঙ্গা।
❖ ভৈরব নদীর শাখা নদী- কপােতাক্ষ, শিবসা, পশুর।

♦ নদ-নদী সম্পর্কিত আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

❖ বাংলাদেশের মােট নদী- ৭০০টি (ভূগোল, ৯-১০ শ্রেণি)
❖ বাংলাদেশের মােট নদ- ৪টি (ব্রহ্মপুত্র, কপােতাক্ষ, আড়িয়াল খাঁ ও কুমার)
❖ উপনদী ও শাখানদীসহ বাংলাদেশের মােট নদীর দৈর্ঘ্য-
২২১৫৫ কি.মি (ভূগােল, ৯ম-১০ম শ্রেণি)/ ২৪১৪০ কি.মি (বাংলাপিডিয়া)।
❖ মােট আন্তঃসীমান্ত (অভিন্ন) নদী- ৫৭টি।
❖ ভারত থেকে আসা বাংলাদেশে প্রবেশকারী নদী- ৫৪টি।
❖ মিয়ানমার থেকে আসা বাংলাদেশে প্রবেশকারী নদী-
৩টি (সাঙ্গু, মাতামুহুরি ও নাফ)।
❖ অভিন্ন ৫৪টি নদীর উৎপত্তিস্থল- ভারত।
❖ অভিন্ন ৩টি নদীর উৎপত্তিস্থল- মিয়ানমার।
❖ দেশে নদীপথের দৈর্ঘ্য- ৯৮৩০ কি.মি.।
❖ সারাবছর নাব্য নদীপথের দৈর্ঘ্য- ৩৮৬৫ কি.মি.।
❖ বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশকারী নদী- ১টি (কুলিখ)।
❖ বাংলাদেশে উৎপত্তি ও সমাপ্ত নদী- হালদা।
❖ বাংলাদেশে থেকে ভারতে গিয়ে আবার বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে- আত্রাই।
❖ বাংলাদেশ ও ভারতকে বিভক্তকারী নদী- হাড়িয়াভাঙ্গা।
❖ বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে বিভক্তকারী নদী- নাফ।
❖ দীর্ঘতম নদ- ব্রহ্মপুত্র।
❖ ক্ষুদ্রতম নদী- গোবরা।
❖ নাব্য নদী- মেঘনা।
❖ খরস্রোতা নদী- কর্ণফুলী।
❖ বাংলাদেশে নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়- ১৯৭৮
সালে (হারুকান্দি, ফরিদপুর)।
❖ বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বাের্ড প্রতিষ্ঠিত হয়- ১৯৭২ সালে।
❖ যৌথ নদী কমিশন গঠিত হয়- ২৪ নভেম্বর ১৯৭২ সালে।
❖ যৌথ নদী কমিশনের প্রধান উদ্দেশ্য হলাে- পানিসম্পদ, সেচ, বন্যা ও ঘূর্ণিঝড় নিয়ন্ত্রণের জন্য সাধারণ আগ্রহ ও যৌথ ব্যাবহারের উদ্দেশ্যে দুইটি দেশ (বাংলাদেশ-ভারত) একত্রে কাজ করার অঙ্গীকার।
❖ পানিসম্পদ পরিকল্পনা সংস্থা প্রতিষ্ঠিত- গ্রিনরােড, ঢাকায়।
❖ বাংলাদেশের দীর্ঘতম নদী প্রণালি হলাে- মেঘনা-সুরমা নদী
প্রণালি (দৈর্ঘ্য ৬৭০ কি.মি.)।
❖ যে সকল নদীর নাম স্ত্রীবাচক তাদেরকে বলে- নদী।
❖ যে সকল নদীর নাম পুরুষবাচক তাদেরকে বলে- নদ। যেমনঃ ব্রহ্মপুত্র, কপােতাক্ষ, কুমার, আড়িয়াল খাঁ ইত্যাদি।
❖ বাংলাদেশের দীর্ঘতম নদী- মেঘনা।
❖ পৃথিবীর দীর্ঘতম নদী- নীলনদ।
❖ ফারাক্কা বাঁধ যে নদীতে নির্মিত হয়- গঙ্গা/পদ্মা নদীতে।
❖ বাকল্যান্ড বাঁধ যে নদীতে নির্মিত হয়- বুড়িগঙ্গা নদীতে।
❖ টিপাইমুখ বাঁধ যে নদীতে নির্মিত হয়- বরাক নদীতে।
❖ বাংলাদেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র- হালদা
নদী (চট্টগ্রাম)। এ নদী থেকে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে রেণু পোণা
সংগ্রহ করা হয়।
❖ গােবরা নদীর অবস্থান- তেঁতুলিয়া, পঞ্চগড়।
❖ এগারসিন্ধুর গ্রাম নামকরণের কারণ- পূর্বে সেখানে এগার
নদীর সংযােগস্থল ছিল।
❖ নদী সিকস্তি হলাে- নদীর ভাঙ্গনে সর্বস্বাস্ত জনগণ।
❖ নদী পয়ন্তি হলাে- নদীতে চর জাগার পর যারা চাষাবাদ করে

Leave a Reply