You are currently viewing “বাংলাদেশের বন”

“বাংলাদেশের বন”

১. বাংলাদেশের মোট বনভূমির পরিমাণ? ২৫৮৭৭০০ হেক্টর (প্রায় ২৬ লক্ষ হেক্টর)।

২. কোন দেশের পরিবেশ ভারসাম্য রক্ষায় বনভূমির প্রয়োজন? মোট ভূমির ২৫ ভাগ।

৩. বাংলাদেশের বনভূমির মোট ভূমির শতকরা?১৭.৬২ পার্সেন্ট (১৮ পার্সেন্ট প্রায়)।

৪. বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে কোন রাষ্ট্রীয় বনভূমি নেই? ২৮টি জেলায়।

৫. বাংলাদেশ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় বনভূমি আছে? ৭ টি জেলায়।

৬. বিভাগ অনুসারে বেশি বনভূমি রয়েছে? চট্টগ্রাম বিভাগে।

৭. বিভাগ অনুসারে কম বনভূমি রয়েছে? রাজশাহী বিভাগে।

৮. জেলা অনুসারে বেশি বনভূমি রয়েছে? বাগেরহাট জেলায়।

৯. জাতীয় বন নীতি প্রণয়ন করা হয়? ১৯৭২ সালে।

১০. জাতীয় পরিবেশ নীতি? ১৯৯২ সালে।

১১. ইউনেস্কো কর্তৃক সুন্দরবনকে বিশ্ব ঐতিহ্য ঘোষণা? ১৯৯৭ সালে।

১২. বাংলাদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু এবং মৃত্তিকার ধরনের উপর ভিত্তি করে বনভূমিকে ভাগ করা হয়েছে?৩ শ্রেণীতে (ক্রান্তীয় চিরহরিৎ বনভূমি বা পাহাড়ি বন, ক্রান্তীয় পত্রপতনশীল গাছের বনভূমি বা শালবন, স্রোতজ বনভূমি বা প্রাকৃতিক ম্যানগ্রোভ বন)

১৩. বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট কোথায় অবস্থিত? চট্টগ্রাম।

১৪. বাংলাদেশের বৃহত্তম বনভূমি হলো? পার্বত্য চট্টগ্রামের বনাঞ্চল।

১৫. একে হিসেবে বাংলাদেশের বৃহত্তম বন কোনটি? সুন্দরবন।

১৬. দেশের কোন বনাঞ্চলকে চিরহরিৎ বন বলা হয়? পার্বত্য বনাঞ্চল।

১৭. রেলের স্লিপার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়? গর্জন।

১৮. ভাওয়াল ও মধুপুর বনাঞ্চলের প্রধান বৃক্ষ? শাল।

১৯. ক্রান্তীয় চিরহরিৎ গাছেরও বনভূমি বা পাহাড়ি বন অবস্থিত?

✓✓পার্বত্য চট্টগ্রাম

✓✓সিলেট

✓✓মৌলভীবাজার

✓✓হবিগঞ্জের পাহাড়ি অঞ্চল

২০.  বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচু বৃক্ষ বৈকাল পাওয়া যায় ক্রান্তীয় চিরহরিৎ গাছেরও বনভূমিতে।

২১. ক্রান্তীয় চিরহরিৎ বনভূমি বা পাহাড়ি বনের উল্লেখযোগ্য বন্যপ্রাণী?

✓✓হাতি, চিতাবাঘ ,বন্য শূকর, হরিণ (সাম্বার হরিণ ও মায়া হরিণ), হনুমান ,বানর ,উল্লুক ,বনরুই, অজগর।

২২. ক্রান্তীয় পতনশীল গাছের বনভূমি অবস্থিত??

✓✓ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল অঞ্চলের মধুপুর গড়।

✓✓গাজীপুর জেলার ভাওয়ালের গড়।

✓✓কুমিল্লা লালমাই, দিনাজপুরের বনভূমি।

২৩. শালবনের বা ক্রান্তীয় পতনশীল গাছের বনভূমির প্রধান বৃক্ষ গুলো হল?

✓✓শাল ,গজারি ,হরিতকী, ছাতিম , কড়ই , বহেরা, কাঁঠাল, হিজল, শিমুল ,অর্জুন।

২৪. শালবন বা ক্রান্তীয় পত্রপতনশীল গাছের বনভূমি প্রাপ্ত প্রাণীগুলো হলো?

✓✓মেছো বাঘ ,বানর, শিয়াল, বনরুই।

২৫. বাংলাদেশ ও ভারতে বিস্তৃত সুন্দরবনের মোট আয়তন? ১০০০০ বর্গ কিলোমিটার (বাংলাদেশ ৬০১৭ বর্গ কিলোমিটার যা মোট এর ৬২ শতাংশ প্রায়)।

২৬. সুন্দরবন অংশে বাংলাদেশ ও ভারতকে বিভক্তকারী নদী হল? হাড়িয়াভাঙ্গা নদী।

২৭. সুন্দরবনের বিস্তৃতি? পাঁচটি জেলায় (খুলনা, সাতক্ষীরা ,বাগেরহাট, পটুয়াখালী, বরগুনা)।

২৮. সুন্দরবন কততম বিশ্ব ঐতিহ্য? ৭৯৮

২৯. সুন্দরবনের হরিণ পাওয়া যায়? দুই ধরনের (মায়া হরিণ ,চিত্রা হরিণ)।

৩০. সুন্দরবনের মধু সংগ্রহের অনুমতি দেয়া হয়? এপ্রিল-মে মাসে।

৩১. বাংলাদেশের একক বৃহত্তম বনভূমি, বাংলাদেশের বৃহত্তম ব-দ্বীপ, পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় টাইডাল বন, বাংলাদেশের ফুসফুস বলা হয় , সবগুলো প্রশ্নের উত্তর হবে সুন্দরবন।

৩২. সুন্দরবনের অন্য নাম? বাদাবন।

৩৩. সুন্দরবন অবস্থিত? শিবসা নদীর তীরে।

৩৪. সুন্দরবনের পূর্বে অবস্থিত? বলেশ্বর নদী।

৩৫. সুন্দরবনের পশ্চিমে অবস্থিত? রায়মঙ্গল ও হাড়িয়াভাঙ্গা নদী।

৩৬. বাঘ টিকে আছে বিশ্বে এমন ১৩টি দেশে ২০১০ সাল থেকে প্রতি বছর ২৯ জুলাই বিশ্ব বাঘ দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

৩৬. বর্তমানে সুন্দরবনের বাঘের সংখ্যা?২০১৫ সালের গণনায় বাঘের সংখ্যা ছিল ১০৬টি। পরের বছর ২০১৬ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ১১৪টিতে।  চলতি বছর বাঘের সংখ্যা ১৬৪ হতে পারে।আগামী ৭ এপ্রিল বন ও জলবায়ুবিষয়ক মন্ত্রণালয় সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ৫০টি বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করবে। সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন,২০ ই ফেব্রুয়ারি ২০২১

৩৭. উপকূলীয় বনের অন্য নাম? প্যারাবন।

৩৮. সুন্দরবন ছাড়া বাংলাদেশের অন্য টাইডাল বন? সংরক্ষিত চকরিয়া বনাঞ্চল।

✓✓যে বন জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয় আবার ভাটার সময় শুকিয়ে যায় তাকে টাইডাল বন বা জোয়ার ভাটার বন বলে।

৩৯. বাংলাদেশের জলাভূমির বন অবস্থিত? সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার হাওর বা বিল জুড়ে।

৪০. রাতারগুল বন এর অবস্থান? সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলায় (বাংলাদেশের একমাত্র জলাবন)।

৪১. রাতারগুলের আয়তন ?২০৪.২৫ হেক্টর।

৪২. রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র অবস্থিত? পশুর নদীর তীরে (সুন্দরবন থেকে ১৪  কিলোমিটার দূরে)।

৪৩. পরিবেশ রক্ষার কাজে সহায়ক গাছ? নিম গাছ।

৪৪. সবচেয়ে তাড়াতাড়ি বাড়ে? ইপিল ইপিল।

৪৫. সূর্য কন্যা বলা হয়? তুলা গাছ কে।

৪৬. পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর গাছ? ইউক্লিপটাস।

৪৭. বাংলাদেশের দীর্ঘতম গাছের নাম? বৈকাল (বৈকাল গাছের উচ্চতা ২৪০ ফুট প্রায়)।

৪৮. বনাঞ্চল থেকে সংগ্রহীত কাঠ ও লাকড়ি দেশের মোট জ্বালানির ৬০ শতাংশ পূরণ করে ।

৪৯. কর্ণফুলী ও সিলেট কাগজ কল এর প্রধান কাঁচামাল? বাঁশ ও ঘাস।

৫০. চন্দ্রঘোনা কাগজ কল এর প্রধান কাঁচামাল? বাঁশ।

৫১. রেলপথে স্লিপার তৈরিতে ব্যবহৃত? গর্জন ও জারুল গাছ।

৫২. সাম্পান ও নৌকা তৈরিতে ব্যবহৃত? চাপালিশ, গামারি গাছ ।

৫৩. টেলিফোন ,বৈদ্যুতিক তারের খুঁটি তৈরিতে ব্যবহৃত? শাল কাঠ।

৫৪. দিয়াশলাই ও পেন্সিল তৈরিতে ব্যবহৃত? গেওয়া, ধুন্দল ও শিমুল কাঠ।

৫৫. ছাতার বাট তৈরিতে ব্যবহৃত?কুর্চি।

৫৬. খুলনা হার্ডবোর্ড মিলে কাঁচামাল? গেওয়া কাঠ।

সংগ্রহে: সৌরভ ঘোষ

Leave a Reply