You are currently viewing মার্টিন লুথার কিং

মার্টিন লুথার কিং

  • Post category:Personality

মার্টিন লুথার কিং

কিংবদন্তি আফ্রো-আমেরিকান মানবাধিকার কর্মী মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র ১৯২৯ সালের ১৫ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। আমেরিকার নাগরিক ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় অহিংস আন্দোলনের জন্য ১৯৬৪ সালে তিনি নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন। নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে তিনি সর্বকনিষ্ঠ। ১৯৫৫ সালে তিনি মন্টোগোমারি বাস বর্জনের নেতৃত্ব দেন। ১৯৬৩ সালের ২৮ আগস্ট ওয়াশিংটনে বিখ্যাত ‘আই হ্যাভ এ ড্রিম’ বক্তৃতাটি উপস্থাপন করেন। ওই ভাষণে তিনি তুলে ধরেন শ্বেতাঙ্গদের বৈষম্যমূলক আচরণ আর কৃষ্ণাঙ্গদের ওপর নির্যাতন ও বঞ্চনার কথা। বললেন, “ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের কোনও প্রাপ্তি নেই, যতক্ষণ নিগ্রোরা পুলিশের বর্ণনাতীত নির্যাতনের শিকার হবে। ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের কোনও প্রাপ্তি নেই, যতক্ষণ ভ্রমণক্লান্ত নিগ্রোরা শহরের হোটেল বা মোটেলে বিশ্রামের অধিকার পাবে। ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের প্রাপ্তি নেই, যতক্ষণ আমাদের শিশুরা ‘কেবলমাত্র শ্বেতাঙ্গদের জন্য’ লেখা সাইনবোর্ড দেখবে। আমি জানি, তোমরা কেউ এসেছ দূর-দূরান্ত থেকে। কেউ জেলের কুঠরি থেকে। কেউ পুলিশের টর্চার সেল থেকে।

তোমরা যার যার ঘরে ফিরে যাও। কিন্তু কাদাজলে ডুব দিয়ে থেকো না। হয়তো আজ বা আগামী কাল আমাদের জন্য সংকটময় হবে। তবুও আমি স্বপ্ন দেখি। এই স্বপ্ন গাঁথা আছে আমেরিকার অস্তিত্বে। আমি স্বপ্ন দেখি, এক দিন এই জাতি জাগ্রত হবে এবং মানুষের এই বিশ্বাসের মূল্যায়ন করবে, সব মানুষ জন্মসূত্রে সমান।”

মার্টিন লুথার কিং সিনিয়র এবং আলবার্টা উইলিয়ামস কিংয়ের ঘরে তাঁর জন্ম। আটলান্টায় বেড়ে ওঠা জুনিয়র বুকার টি ওয়াশিংটন হাইস্কুলে ভর্তি হন। ১৯৪৮ সালে মোরহাউজ থেকে সমাজবিদ্যায় ব্যাচেলর অব আর্টস ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৫৩ সালে করেটা স্কটকে বিয়ে করেন। তিনি গান্ধীর অহিংস আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন। এর ফলে ১৯৫৯ সালে গান্ধীর জন্মস্থান ভারত সফর করেন তিনি। শেষের দিকে দারিদ্র্যমোচন এবং ভিয়েতনাম যুদ্ধের বিরোধিতায় বিশেষ গুরুত্ব দিতে চেয়েছিলেন। গরিব এবং কৃষ্ণাঙ্গদের আর্থিক ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে পুওর পিপলস ক্যাম্পেইন সংগঠিত করেছিলেন তিনি। ১৯৬৮ সালের ৪ এপ্রিল তিনি আততায়ীর হাতে প্রাণ দেন।

 

সংগ্রহীত

Leave a Reply