You are currently viewing মৌর্য যুগ, গুপ্ত যুগ, গৌড় রাজ্য, পাল বংশ, সেন বংশ – সাবিকুন নাহার

মৌর্য যুগ, গুপ্ত যুগ, গৌড় রাজ্য, পাল বংশ, সেন বংশ – সাবিকুন নাহার

মৌর্য যুগ

চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যঃ

  • ৩২৪-২৯৮ খ্রিস্টপূর্ব
  • আলেকজান্ডার ভারতবর্ষ ত্যাগের পর গ্রিক সেনাপতি সেলুকাসকে পরাজিত করে সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন।
  • তার রাজধানী পাটলীপুত্র।
  • চাণক্য ছিলেন তার প্রধানমন্ত্রী। চাণক্যের ছদ্মনাম কৌটিল্য।
  • চাণক্যের বিখ্যাত সংস্কৃত গ্রন্থ “অর্থশাস্ত্র”।
  • চন্দ্রগুপ্তের সময়ে গ্রিক পরিব্রাজক মেগাস্থিনিস ভারতবর্ষ আগমন করেন। তার ইন্ডিকা গ্রন্থ প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের প্রামাণ্য দলিল হিসাবে পরিগণিত।

সম্রাট অশোকঃ

  • খ্রিস্টপূর্ব ২৬৯-২৩২।
  • প্রাচীন ভারতের শ্রেষ্ঠ সম্রাট।
  • তিনি কলিঙ্গ যুদ্ধে জয়ী হন।যুদ্ধের বিভীষিকা দেখে তিনি অহিংস বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করেন।
  • তাকে বৌদ্ধ ধর্মের কন্সট্যান্টাইন বলা হয়।
  • মহস্থানগরে অশোকের একটি শিলালিপি পাওয়া গেছে।

মৌর্য বংশের শেষ রাজা বৃহদ্রথ।

গুপ্ত যুগ

  • গুপ্ত বংশের প্রথম রাজা শ্রীগুপ্ত।
  • গুপ্তযুগকে প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশের স্বর্ণ যুগ বলা হয়।

প্রথম চন্দ্রগুপ্তঃ (৩২০-৩৪০ খ্রি)

  • তিনি গুপ্ত বংশের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা।
  • তার রাজধানী ছিল পাটলীপুত্র।

সমুদ্রগুপ্তঃ (৩৪০-৩৮০ খ্রি)

  • তিনি গুপ্ত বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা।
  • তাকে প্রাচীন ভারতের নেপোলিয়ন বলা হয়।

দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত (৩৮০-৪১৫ খ্রি)

  • বিক্রমাদিত্য ছিল তার উপাধি। তিনি ‘বিক্রমাব্দ’ নামক সাল গণনা শুরু করেন। 
  • তার সভায় প্রতিভাবান ৯ জন কে নবরত্ন বলা হয়।
  • তার সভায় কালিদাস, আর্যদেব, নাগার্জুন, বিশাখা দত্ত প্রমুখ কবি সাহিত্যিকের সমাবেশ ঘটে।
  • এ যুগের বিখ্যাত দুটি বই হল- ক) আর্যসিদ্ধান্ত (রচয়িতা-আর্যভট্ট) খ) বৃহত সঙ্ঘিতা (রচয়িতা- জ্যোতির্বিদ বরাহমিহির)।
  • তার আমলে চীনা পর্যটক ফা হিয়েন ভারতবর্ষে আগমন করেন।

গুপ্ত বংশের শেষ শাসক বুধগুপ্ত।

গৌড় রাজ্য

রাজা শশাঙ্কঃ

  • গৌড় রাজ্যার প্রথম স্বাধীন সার্বভৌম রাজা হলেন শশাংক (৬০৬ খ্রি) । সপ্তম শতকে গৌড় বলতে বাংলা কে বুঝাত।
  • তার রাজধানী ছিল কর্নসুবর্ন। এটি বর্তমানে মুর্শিদাবাদ জেলায়।
  • তার উপাধি মহারাজাধিরাজ।

হর্ষবর্ধনঃ

শশাঙ্কের মৃত্যুর পর হর্ষবর্ধন গৌড় রাজ্য দখল করেন।

  • তিনি ছিলেন পুষ্যভূতি বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা। এ সময় কনৌজ ছিল রাজধানী।
  • তিনি হর্ষাব্দ নামক সাল গণনা শুরু করেন।
  • তার সময়ে বিখ্যাত সাহিত্যিক ছিলেন বানভট্ট। বান ভট্টের বিখ্যাত গ্রন্থ ‘হর্ষচরিত’।
  • তার সময়ে চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাং ভারত বর্ষ সফর করেন। হিউয়েন সাং নালন্দা মহাবিহারে অধ্যক্ষ শীলভদ্রের কাছে বৌদ্ধ ধর্মশাস্র অধ্যয়ন করেন এবং ‘সিদ্ধি’ নামক একটি গ্রন্থ রচনা করেন।

মাৎস্যন্যায়ঃ

শশাঙ্কের মৃত্যুর পর পরবর্তী একশত বছর অরাজগতা ও আইন শৃঙ্খলাহীন রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা হল মাৎস্যন্যায়।

পাল বংশঃ

  • এ বংশের রাজাগন প্রায় চারশত বছর রাজত্ব করেন।
  • গোপাল ছিলেন পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা।
  • ধর্মপাল ছিলেন এ বংশের শ্রেষ্ঠ সম্রাট। পাহাড়পুরের বিখ্যাত বৌদ্ধ বিহার সোমপুর বিহার তিনি প্রতিষ্ঠা করেন।
  • রামপালের সময়ে তার মন্ত্রী ও সভাকবি সন্ধ্যাকর নন্দী ‘রাম চরিত’ কাব্য রচনা করেন।
  • পাল বংশের শেষ রাজা গোবিন্দ পাল।
  • কৈবর্ত বিদ্রোহ পাল শাসনামলে সংঘটিত হয়।
  • দেব পালের পৃষ্টপোষকতায় ‘নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় প্রান কেন্দ্র হয়ে উঠে।

সেন বংশঃ

  • সেন বংশের প্রথম রাজা সামন্ত সেন।
  • সামন্ত সেনের পুত্র হেমন্ত সেন , সেনরাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা।
  • হেমন্ত সেনের পুত্র বিজয় সেন বাংলাকে প্রথম একক শাসনাধীনে আনয়ন করেন।
  • বিজয় সেনের পুত্র বল্লাল সেন সম্ভবত পাল বংশের গোবিন্দ পাল কে পরাজিত করেন। তিনি ‘দান সাগর’ নামক স্মৃতিময় গ্রন্থ ও ‘অদ্ভুত সাগর’ নামক জ্যোতিষ গ্রন্থ রচনা করেন।
  • সেন রাজ্যের শেষ রাজা লক্ষন সেন। তিনি বাংলার শেষ হিন্দু রাজা। তিনি তুর্কি সেনাপতি বখতিয়ার খলজির নিকট ১২০৪ সালে পরাজিত হন।
  • সেন বংশের শেষ রাজা কেশব সেন।

 

লিখেছেন, সাবিকুন নাহার

Leave a Reply