You are currently viewing রসায়ন দ্বিতীয় অধ্যায় (৯ম-১০ম শ্রেণি): পদার্থের অবস্থা- টপিকঃ কণার গতিতত্ত্ব– Hamida Akter

রসায়ন দ্বিতীয় অধ্যায় (৯ম-১০ম শ্রেণি): পদার্থের অবস্থা- টপিকঃ কণার গতিতত্ত্ব– Hamida Akter

 

কণার গতিতত্ত্ব

এই বিশ্বের সকল পদার্থই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণা দ্বারা গঠিত এবং এই কণাগুলোর মধ্যে আকর্ষণ বিদ্যমান বলেই যেকোনো পদার্থ নিজস্ব বৈশিষ্ট্য নিয়ে গঠিত হয়। পদার্থের কণাগুলোর মধ্যে যে শক্তির কারণে আকর্ষণ থাকে তাকে আন্তঃকণা আকর্ষণ শক্তি বলে। আবার এই কণাগুলোর মাঝে গতিশক্তিও বিদ্যমান।

যে তত্ত্বের মাধ্যমে পদার্থের কণাগুলোর গতিশক্তি এবং আন্তঃকণা আকর্ষণ শক্তি দিয়ে পদার্থের কঠিন, তরল এবং গ্যাসীয় অবস্থা ব্যাখ্যা করা যায় তাকেই কণার গতিতত্ত্ব বলে।

পদার্থ যখন কঠিন অবস্থায় থাকে তখন কণাগুলোর গতিশক্তি খুবই কম থাকে। কারণ কঠিন পদার্থের অণুগুলো পরস্পরের অতি নিকটে অবস্থান করে। যার ফলে এদের মধ্যকার আন্তঃকণা আকর্ষণ বল খুব বেশি থাকে এবং কণাগুলো নিজ অবস্থান থেকে সহজে নড়তে পারে না। অতএব কঠিন পদার্থের গতিশক্তি সবচেয়ে কম থাকে।

কঠিন পদার্থে তাপ প্রয়োগ করা হলে কণাগুলো তাপশক্তি গ্রহণ করে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে কাঁপতে থাকে। যদি এতে আরও বেশি তাপ প্রয়োগ করা হয় তাহলে এদের মধ্যকার আকর্ষণ কমতে থাকে এবং কণাগুলো গতিশীল হয়ে পড়ে। পদার্থের উক্ত অবস্থাকে তরল অবস্থা বলা হয়। কারণ এ অবস্থায় কণাগুলো একটু দূরে দূরে অবস্থান করে এবং আন্তঃকণা আকর্ষণ শক্তি কমে যায়। তরল পদার্থের গতিশক্তি কঠিন পদার্থের তুলনায় বেশি হলেও গ্যাসীয় পদার্থের তুলনায় কম। এ অবস্থায় পদার্থের নির্দিষ্ট আকার না থাকলেও নির্দিষ্ট আয়তন বিদ্যমান।

তরল পদার্থের উপর যদি আরও বেশি তাপ প্রয়োগ করা হয় তাহলে পদার্থের কণাগুলোর গতিশক্তি এত বেড়ে যায় যে এরা মুক্ত হয়ে বিক্ষিপ্তভাবে ছোটাছুটি করতে থাকে। এই অবস্থাকে গ্যাসীয় অবস্থা বলা যায়। গ্যাসীয় অবস্থায় পদার্থের নির্দিষ্ট আকার বা আয়তন কিছুই থাকে না, যখন যে পাত্রে রাখা হয় তার আকার-আয়তন ধারণ করে। গ্যাসীয় অবস্থায় পদার্থের কণাগুলোর মধ্যে আন্তঃকণা আকর্ষণ শক্তি নেই বললেই চলে এবং কণাগুলের মধ্যে দূরত্ব সর্বাধিক থাকে। কারণ তখন কণাগুলো স্বাধীনভাবে বিচরণ করতে পারে।

গ্যাসীয় পদার্থে আরও অধিক তাপ প্রয়োগ করলে কণাগুলোর গতিশক্তি আরও বেড়ে যাবে।

 

লিখেছেন,

Hamida Akter, Jahangirnagar University

 

 

Leave a Reply