রাজা রামমোহন রায় – গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদিঃ মারিয়া ইসলাম

রাজা রামমোহন রায় (১৭৭২ – ১৮৩৩)

  1. রাজা রামমোহন রায় ছিলেন বাংলার নবজাগরণের আদিপুরুষ।
  1. তাকে প্রথম আধুনিক মানুষ বলা হয়।
  1. তার ছদ্বনাম শিবপ্রসাদ রায়।
  1. তিনি ১৭৭২ সালের ২২ শে মে হুগলি জেলার রাধানগর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
  1. তিনি একজন সমাজসংস্কারক, ধর্ম-সংস্কারক,চিন্তাবিদ ও বহুভাষাবিদ ।
  1. তার প্রথম একেশ্বরবাদী রচনা ‘তুহফাতউল মুয়াহ্হিদীন’ ।
  1. ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে তার সংস্কার কার্যক্রমের শুরু।
  1. ১৮১৭ সালে ‘হিন্দু কলেজ’ প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এই সময়ে ইংরেজ শাসক ছিলেন ডেভিড হেয়ার।
  1. ১৮২৩ সালে নিজ অর্থ ব্যয়ে কলকাতায় অ্যাংলো হিন্দু স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন।
  1. ১৮২৮ সালে দ্বারকানাথ ঠাকুরের সহায়তায় ‘ব্রাহ্ম-সমাজ’ প্রতিষ্ঠা করেন।
  1. রাজা রামমোহনের প্রচেষ্টায় লর্ড বেন্টিংক এর সহায়তায় ১৮২৯ সালে সতীদাহ প্রথা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
  1. ১৮৩০ সালে তৎকালীন মোগল বাদশা দ্বিতীয় আকবর তাঁকে  রাজা উপাধি দেন।
  1. রাজা রামমোহন রায়কে ইংল্যান্ডের  রাজার নিকট  দূত প্রেরণ করা হয় ১৮৩১ সালে।
  1. বাঙালিদের মধ্যে তিনিই প্রথম ইংল্যান্ড গমনকারী।
  1. তাকে ১৮৩২ সালে ফরাসি সম্রাট লুই ফিলিপ কর্তৃক সংবর্ধন দেওয়া হয়।
  1.  প্রথম বাংলা গদ্যের সূত্রপাত করেন রাজা রামমোহন রায়।
  1. রাজা রামমোহন রায়কে ফাদার অব নিউ ইন্ডিয়া উপাধি দেন গোপাল কৃষ্ণ গোখলে।
  1.  রাজা রামমোহন রায় সম্পাদিত পত্রিকা:

(ক) ইংরেজিতে –  Brahmunical     

       Magazine (১৮২১)।

(খ) বাংলায় –  ব্রাহ্মণসেবধি (১৮২১),   

     সম্বাদ কৌমুদী (১৮২১),সমাচার 

   চন্দ্রিকা (১৮২২),ভবানীচরণ সহযোগে।

(গ)ফারসিতে- মীরাতুল আখবার   

     (১৮২২)।

  1.  রাজা রামমোহন রায়ের সাহিত্যকর্ম :

(ক)অনুবাদ: বেদান্তগ্রন্থ(১৮১৫),বেদান্তসার(১৮১৫)।

(খ)প্রতিবাদমুলক রচনা: ভট্টাচার্যের সহিত বিচার (১৮১৭),প্রবর্তক ও নিবর্তকের সম্বাদ(১৮১৮),গোস্বামীর সহিত বিচার(১৮১৮),পথ্য প্রদান (১৮২৩)।

(গ)শিশু উপভোগ্য রচনা: নীতিকথা(১৮১৮),হিতোপদেশ (১৮২০)।

(ঘ)১৮৩৩ সালে ‘গৌড়ীয় ব্যাকরণ’ নামে প্রথম বাংলা ব্যাকরণ রচনা করেন।

  1. বাংলায় প্রবন্ধ রচনায়ও প্রথম কৃতিত্ব রাজা রামমোহন রায়ের।
  1. ১৮৩৩ সালে রাজা রামমোহন রায়কে ব্রিস্টলে সমাধিস্থ করা হয়।
  1. তার নামানুসারে ব্রিস্টলে পথচারীদের জন্য রাস্তার নামকরণ করা হয়। এবং ১৯৯৭ সালে তার একটি মূর্তি স্থাপন করা হয়।

লিখেছেন 

মারিয়া ইসলাম 

বাংলাদেশ হোম ইকোনমিকস কলেজ

Leave a Reply