You are currently viewing সাইলেন্ট ভ্যালি আন্দোলন

সাইলেন্ট ভ্যালি আন্দোলন

  • Post category:Chapakhana

ভারতবর্ষের পরিবেশগত আন্দোলন গুলোর মধ্যে একটি অন্যতম প্রধান আন্দোলনের নাম হল সাইলেন্ট ভ্যালি বাঁচাও আন্দোলন।

সাইলেন্ট ভ্যালি বৃষ্টি অরণ্য ভারত তথা পৃথিবীর অন্যতম প্রধান জীববৈচিত্র্যময় এলাকা।এখানে এমন কিছু উদ্ভিদ ও প্রাণীর অস্তিত্ব লক্ষ্য করা যায় যা পৃথিবীর অন্য কোথাও আর নেই।

সাইলেন্ট ভ্যালি এলাকায় ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৪০ মেগা ওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছিল ১৯৭৩ সালে।প্রকল্পটির বাস্তবায়নের ফলে উক্ত অঞ্চলের বিপুল পরিমাণ উদ্ভিদ এবং প্রাণীর জীবন সংশয়ের সম্ভাবনা ছিল। ঠিক তখন স্হানীয় একটি সংগঠন “কেরল শাস্ত্র সাহিত্য পরিষদ (KSSP) এই প্রকল্পের বিরোধিতা করেন।

কিন্তু এই প্রকল্পের মাধ্যমে অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হতো।তাই মানুষেকে বোঝানোর জন্য,সচেতন করার জন্য এই পরিষদ তাদের বলেন এই বাঁধ থেকে যে সুবিধা গুলি পাবে তা তো অন্য ভাবেই পাওয়া সম্ভব এবং KSSP রাজ্যের মানুষদের সচেতন করার জন্য সারা রাজ্যব্যাপী ‘Save Silent Valley ‘উৎযাপন করা হয়।

বিভিন্ন সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ গুনী মানুষেরা তাদের লেখনীর মাধ্যমে জনগনকে সচেতন করেন।

এই আন্দোলনটি আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘World Wild Life Fund India এবং International Union for the Conservation of Nature and Natural Resources (IUCN) কতৃক সমর্থিত হয়।এইভাবে সাইলেন্ট ভ্যালি আন্দোলনটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করে।

তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকার প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধির নেতৃত্বে দশ জন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেন,যার প্রধান ছিলেন এম.জি.কে.মেনন।তিনি দেখেন যে,সাইলেন্ট ভ্যালি এমন এক অঞ্চল যা নির্বিঘ্নে, জনমানবশূন্য ও অপেক্ষাকৃত দূর্গম বাস্তুতন্ত্র এবং জীববৈচিত্র্যে পরিপূর্ণ। এমন স্থানে জলবিদ্যুৎ নির্মাণ মূলক যে কোন রকম কার্যবলী এই অঞ্চলের জীব বৈচিত্র্যের হ্রাস ঘটাবে এবং পুরো এলাকার অপুরনীয় ক্ষতিসাধন করবে।

পরবর্তীতে কমিটির উদ্যোগে,  বিভিন্ন সাংবাদিক মহলের,গণমাধ্যমের,বিভিন্ন কোর্টের আদেশের মুখে পড়ে বিদ্যুৎ স্থাপনের পরিকল্পনা বাদ পড়ে যায়।রক্ষা পায় পুরো প্রাণীকুল অঞ্চল। আর সাইলেন্ট ভ্যালি আন্দোলনের জনক বলা হয় সুগাথাকুমাীর কে।

এইভাবে যুগের পর যুগ ধরে মানুষ লড়াই করে এসেছে প্রানী ও উদ্ভিদকুলকে রক্ষা করার জন্য। সর্বোপরি নিজের অস্তিত্ব রক্ষা করার জন্য। কারন এই পরিবেশের মাঝেই আমাদের বেঁচে থাকা নির্ভর করে। তাই এই পরিবেশ দিবসে শপথ নিন নিজে বাঁচুন, সাথে পরিবেশকে ও বাঁচান এবং অন্যকে অনুপ্রেরণা প্রদান করুন।

This Post Has One Comment

  1. Piu

    গাছ লাগাও প্রাণ বাচাও।

Leave a Reply